বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

চিঠি (নীল কাব্য ৬)

চিঠি
নীল

প্রিয় নীলা,
আন্তঃআনবিক সম্পর্কে বাধা পরেছি আমি;
মনের অণুগুলো একটা টান অনুভব করছে,
মনে হচ্ছে, আমার ভালো'লাগার পরিসর
ছোট হচ্ছে দিন-কে-দিন। আগে যা মহাকাল বিস্তৃত ছিল,
আমার সেই ভালো লাগা আজ তুমি কেন্দ্রিক।

নতুন একটা বল ক্রিয়া করছে আমার মাঝে;
আত্মা কেন্দ্রিক বল বললে ভুল হবেনা।
বুঝতে পারছি, আমার মাঝে যে মহাকর্ষ বল ছিল
তা আজ অভিকর্ষ বলে রূপ নিয়েছে।
আর তাই তোমাকে অনেক কাছে
আমার হৃদয়ের দুয়ারে অনুভব করছি।

আমার মনে আমি দোলন অনুভব করছি;
পেন্ডুলামের মত দোলছে আমার মন,
এপাশ-ওপাশ, ওপাশ-এপাশ করছে,
শুধু কেন্দ্রে স্থির হচ্ছে না। একটু সময় নিয়ে
পেন্ডুলাম দোলোকের কেন্দ্রে যেমন স্থির হয়,
আমার দোদুল্লমান মনও স্থির হবে,
আর সেই স্থির মনের কেন্দ্র হবে তুমি।

আর পরিশেষে আমি তোমাকে জানাতে চাই,
আমি একটা নতুন সম্পর্কাবস্থা ঠিক করেছি;
তুমি আর আমি মিলে সমযোজি সম্পর্ক করব।
আমাদের কোনো ঋণ থাকবে না, আমাদের
কেন্দ্র হবে এক। যেখানে আমাদের স্বপ্ন সুখ
আমারদের ভালবাসা থাকবে;
যা শুধু তোমার জন্যে আর আমার জন্যে।

ইতি,
নীল

শহুরে জীবন (নীল কাব্য ৫)

শহুরে জীবন
নীল

যান্ত্রিক নগরীতে জীবন অচল হয়ে যাচ্ছে,
চারদিকে শব্দ কূলাহল, বিরক্তিকর পরিবেশ।
গাছের পাতা ঝরতে দেখিনা কোথাও,
সবুজের লেশ মাত্র নেয়।
গাছের ছায়াতলে এখানে কেউ ক্লান্তি নিবৃত করেনা;
ইটে গড়া অট্টালিকা এখানে তাদের শীতল করে।
আর পাখিরা এই যান্ত্রিক শহর ছেড়েছে,
শহুরে জনপদ থেকে তাদের বসবাস অনেক দূরে,
তারা আর শহরে আসেনা, ডাকেনা, উড়েনা।
যদিও গুটি কয়েক কাকের দেখা এখনো মেলে,
তাও থাকতো না যদিনা ডাস্টবিন ছেড়ে
আবর্জনা রাস্তা দখল না করতো।
সব কিছুর জন্যে নগর চালক ধন্যবাদ পেতে পারেন,
ধন্যবাদ আপনাকে যান্ত্রিক হওয়া মানুষের পক্ষ থেকে!

বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১২

আর্তনাদ (নীল কাব্য ৪)

আর্তনাদ
নীল

জীবনটা যদি পেন্সিলে লেখা কাগজ হত,
আমি বাঁচার আশা করতাম।
আমার কৃত সব ভুল, জীবনের মন্দ গল্প,
সব মুছে দিতাম ইরেজার দিয়ে।
জীবন খাতার অসীম খাতায়,
ভুলের ব্যাখ্যা প্রতি পাতায়,
আমি জানি না, আমার নিয়ন্ত্রক জানেন,
তিনিই জানেন ভুলের পরিমান কত!

খানিকটা তোমার জানা হলো আজ,
আর এটাই তোমার সয্য সীমা অতিক্রম করলো,
যে কারণে তুমি নিজেকে গগনের তারা করে নিলে।
তুমি কি বলতে পারবে,
আমার জীবন কেন পেন্সিলে লেখা কাগজ হলোনা?
আফসোস! আমার ভুলগুলো আর মুছা হলোনা।

শতবার চেয়েও পবিত্র হতে পারলাম না,
আমার বাঁচার আশা তাই ক্ষীণ হয়ে আসছে,
মরণ চোখের সামনে খেলা করছে,
যেকোনো সময় সে জয় লাভ করবে।

আমি লজ্জিত অপদস্ত মস্তকে তা দেখছি আর ভাবছি,
ভুল করা জীবন খাতা
আর তোমার অনন্ত যাত্রা।
তোমার কাছে করা ভুলগুলো আর মুছা হলোনা,
এই ভেবেই কষ্ট পাচ্ছি, আর কষ্ট পাচ্ছি-
জীবন কেন পেন্সিলে লেখা কাগজ হলো না।

নুতন পাখি (নীল কাব্য ৩)

নুতন পাখি
নীল

রোমেল, কোথাও যাবি নাকি?
ও, তাহলে বস। একটা গল্প বলি।
"একটা রাজ্যে ছিল অনেক পাখি,
সব পাখি একসাথে কত্তো সুখী!
পাখির রাজ্যে একটা প্রাসাদ ছিল,
রাজা পাখি, রানী পাখি;
উজির পাখি, নজির পাখি;
সাধারণ পাখি আর সাথে কিছু
ফালতু পাখি।"

রোমেল: এই, ফালতু পাখি মানে?

"শুননা, একটা পাখি হটাত করে
আসল উড়ে করলো বাসা।
সব পাখিদের একটি পাখি,
দেখল তারে বাধলো আশা।
নতুন পাখি সময় করে,
রাজ্যটাতে বেড়ায় ঘুরে।
সব পাখিদের কিছু পাখি,
আর তাদের সাথে নুতন পাখি,
একসাথে এক দলে,
দেখতে কিজে লাগচিলোরে!
আচম্কায় হল কি জানিস?"

রোমেল: হুম!

"ঐযে, গুটি কয়েক ফালতু পাখি!
তাদের আর শয়ছে নাকি।
নুতন পাখির দলটাকে'রে
বেধে দিল নাটাই ডুরে,
আর কি করে পাখি গুলো?
যন্ত্রনাত সবে শুরু হলো।
নুতন পাখি ভদ্র করে 
কত'যে নিন্দিলো তারে!
ফালতু পাখি ফালতু বটে,
সরম লাজের মাথা কাটে।
হজম করে নিন্দা গুলো,
নুতন ফন্দি করলো শুরু।
রাজ্যের যত পাখি আছে,
সব পাখিরে মারলো ত্রাসে।"

রোমেল: ফালতু দেখি মহা ফাজিল!

"তবে আর বলছি কিরে!
মনে আছে, আশা বাধা পাখির কথা?
তার বেলাতে সবই বৃথা।
ফালতু পাখি সবার মত,
ডাকলো তারে নিজের ঘরে।
সে কতোকি বুঝাল তারে।

ফালতু পাখির কথা শুনে,
পাখিটার জেদ গেল বেড়ে।
রাজ্যে যে রাজা আছে,
ফালতু পাখি কি তার কাছে?
আর তাই পাখিটা স্বপ্ন দেখে...........
...............................................
..............................................."

রোমেল: কি স্বপ্ন?

"আর একদিন.........।"




মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১২

ভাড়াটে কবি (নীল কাব্য ২)

ভাড়াটে কবি
নীল

"বাবু,
একটু বুঝতে চেষ্টা করেন,
এখন আমি কবিতা লেখার মুডে নেই।
দেখতে পাচ্ছেন না, 
শত চেষ্টা করছি, খাতার পাতা শেষ হচ্ছে,
মাথার চুল টানছি, কলমের নিপ ভাংছে।
তবুও পারছিনা! আপনি বরং আমাকে পেমেন্টটা করে দিন,
আমি কালই আপনাকে কবিতাটা লিখে দিব।
লেখকের জায়গায় আপনার নাম থাকবে নিশ্চিত,
ইহা ভুল হইবার নয়"।

"অনেক বুঝেছি, আর পারবো না।
তুমি বেটা ফন্দিবাজ, 
যে কবিতা আমার জন্যে লিখা, বিনোদের জন্য কিনা সেই একই কবিতা!
কি ঝামেলায় পরেছি তোমার জন্য তার খেয়াল আছে?
ঠিক আছে,
আমি যাচ্ছি, অন্য কাউকে দিয়ে লেখিয়ে নেবো।
তোমার কাছে আর হচ্ছে না"!

"প্লীজ, এমন করে বলবেন না।
ছেলেটার খুব অসুখ করেছে,
রান্না-বান্না নেই আজ তিনদিন হলো,
বউ বকে একদিকে,
অন্যদিকে প্রকাশক ফিড়িয়ে দিচ্ছে,
আমি নাকি লেখায় আনাড়ি !
তাই এখন আপনি কবিতার প্যামেন্টটা না করলে............."

"না হলে কি"?

"আচ্ছা, এই নিন বাবু আপনার কবিতা।
আর একটু,
আপনার নামটা লিখতে ভুলে গেছি! আর হবেনা।
অগ্রকান্ত ( কোনো এক বিখ্যাত কবি )"।

"এই নাউ, এবার খুশি?
তুমি বাপু পাড় বটে!"

"আপনাদের দয়া"। 

জীবন কাব্য (নীল কাব্য ১)

জীবন কাব্য
নীল

আমি কবি নই, তবুও আমার জীবন কাব্যিক,
এই জন্যে আমাকে কবি হতে হবে তাও নয়।
আমার জীবন লিখা নিশ্চয় কোনো কবি লিখেছে, আর আমি
আমি সেই লিখার মানচিত্রে ভ্রমন করছি মাত্র।
আমার কোনো সাধ্য নেই মানচিত্র অতিক্রম করার,
জীবন ভাগ্য মরণ ভাগ্য কবির নিজের হাতে লিখা।
তবুও ইচ্ছে হয়, কবির লিখা অতিক্রম করার!
যদি পারতাম আকাশটাকে বাড়ি বানাতাম,
পাখিটাকে গান শেখাতাম, বা নিজেই পাখির গান করতাম।
দিবাকর দূরে ঠেলে শশীকে আপন করতাম,
ওপারের ডাকে সাড়াহীন থেকে এই ধরাতে রয়ে যেতাম।
এসব আমি পারব না, শুধু আমার জীবন লিখায় নেই বলে।
কবি, আমার কবি, মহাজাগতিক কবি,
তোমাকে ধন্যবাদ এবং আমি কৃত্তজ্ঞ
আমাকে এই অপরূপা ধরিত্রীর বুকে ভ্রমণের সুযোগ দেয়ার জন্যে,
ওপারে তোমার আরশ পাব এই আশায় জীবন মায়া ছাড়তে চাই।
কবি তোমার প্রশংসা করি আর আমাকে ভালো রেখো।

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

যে দুখের নাই কোনো সীমানা

গতকাল রাতে (১৪/১০/২০১২) এক অনাকাঙ্খিত ঘটনার মুখোমুখি হই। অনেক কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট পেলে যা করে তাই করেছি। তবে বেশ কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে নিয়েছি। কষ্ট যখন খুব বেশি লাগছিল তখন আম্মার কথা মনে পরছিল। তবে আপন জনের বা আপনজনের ষড়যন্ত্রে যখন কষ্ট পেতে হই তার কোনো সীমা থাকে না।

পথ চলা আজ হলো শুরু

আজ থেকে শুরু করলাম নুতন করে নুতন ডায়রি লিখা। যদিও এটা  অনলাইন ডায়রি তুবুও ভালো লাগছে এই ভেবে যে আমার জীবনের বেক্ত অবেক্ত সব কথা এখানে থাকবে। মাঝে মাঝে কবিতা লিখি, প্রকাশ করার জায়গা পেতামনা। কোনো দৈনিক নিশ্চয় আমার লিখা চাপাবেনা। এখানে আমার অবাদ স্বাধীনতা, বানান ভুল করব, যা ইচ্ছা তাই লিখব। তাই পথ চলা আজ হলো শুরু।