মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

অজানা কল্পনা

অজানা কল্পনা
নীলরুবার জন্য

অজানা কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে মনে মস্তিষ্কে,
তোমার ভিতর ডুবে যাচ্ছে, তোমার প্রেমে মাতাল হচ্ছে।
কি ভাবছে, কি চাচ্ছে...
অজানা কল্পনা করেই চলেছে!

যখন রাখবে তোমার হাত এই হাতে,
কি চাইবে আর সে? জান্নাত তো পেয়েছে!
তুমি থাকলে পাশে, কি হবে নিখিল দুনিয়া দিয়ে?
তোমার প্রেম শুধা পিয়ে, হারাবো অজানাতে!

দক্ষিণা বাতাসের যতটা কাছে ফুলের খুশবো,
যতটা কাছে ঠোঁটের নতুন গানের সুর,
নির্ঘুম রাতের যতটা কাছে মনের ভাবনা,
যতটা কাছে বাহুর মাঝে অতৃপ্ত আলিঙ্গন,
স্বপ্ন থাকে যতটা কাছে চোখের দৃষ্টির,
ঠিক ততোটা কাছে থাকবো শুধু তোমার হয়ে।

মন গোপনের যতটা কাছে হৃদয়ের কম্পন,
যতটা কাছে মেঘের থাকে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো,
চাঁদ ছাড়া রাতের যতটা কাছে অমাবস্যার আধার,
যতটা কাছে নয়নের মাঝে পেঁয়াজে তোলা কাজল,
দরিয়ার বুকে যতটা কাছে অশান্ত লহরী,
ঠিক ততোটা কাছে থাকবো শুধু তোমার হয়ে।

নীলরুবা থাকে কাছে দিয়েছে হৃদয়ে হৃদয়,
অজানাতে হারাবো দুজন আর কিসের ভয়!

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

দুঃখ বেচার গল্প

দুঃখ বেচার গল্প
নীল

নদীর পাড়ে বিকেল,
অনেক দিন পরে রে।
বাড়ির পুবে নদী পাশ,
ছায়াটা তাই সোজা ঢেউয়ের বুকে।
সবুজ ঘাস, নদী পাড়, ঢেউ, ঢেউয়ের শব্দ, মুক্ত বাতাস, তুই-
কতো কিছুর পরে, বেশ একটা আড্ডা হবে আজ।

এখন আর দুঃখ হয়না রে,
ঐযে সেদিন আমি, হ্যাঁ- আমি,
দুতলার বারান্দাতে বসে-
কেউ একজন ফেরি করছিলো নিচে,
চলে যাচ্ছিলো, গিয়েছিলোও বেশ খানিটা দূরে।

খুব জোরে গলা ফাটিয়ে ডেকে,
বললাম তাকে- বেচার কিছু আছে, নিবে?
বলছিরে বাপ থাম, এতো তারা কিসের তোর?
সত্যি বলছি, দুঃখ থেকে অনেক দূরে হৃদয়,
ধড়ফড়া বুক ঘুম আর ভাঙ্গায় না,
প্লেটের খাবার শেষই করি, গলায় জমে না।
আনমনে আর বই পড়িনা এখন,
বইয়ের ভিতর আমায় পড়ি রে।

যাইহোক,
কি বেচবো জিজ্ঞেস করাতেই,
চিকমিকিয়ে উঠলো জেগে চোখ।
বললাম হেসে- পুরোনো কিছু দুঃখ আছে,
যদি নিতে হালকা হতাম বেশ।

চেয়েছিলাম এমনি দিয়ে দেই,
পয়সা ছাড়া এমনি নিবেনা সে।
ভালোই হলো, বেচে দিলাম সব।
পুরোনো আদর, চুমু, প্রেম, উষ্ণ অনুভব- সব।
বেচেই দিলাম সব।

এখন আমার দুঃখ নেই ঠিক,
দুঃখ বেচা পয়সাগুলো আছে।
সুখের বাজার চিনিস?
জানলে খবর দিস।
নিজের ভিতর নিজেই খুশি অনেক,
এমন সুখের দাম কি বেশি খুব?
যতই হোক কিনে নেবো সব,
নিজের ভেতর সাজিয়ে নেবো নীল রাঙা অনুভব। 

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০

তুমি রাগ করেছো বলে আমার সাথে

তুমি রাগ করেছো বলে
নীল

সূর্যটা আজ আলো দিয়েছে নির্লিপ্ত ভাবে,
এমন হবে কে ভেবেছে চৈত্রের কাঠফাঁটা দুপুরে।

আসমানে মেঘের দোড়ঝাপ লেগেই ছিল,
এপাশ-ওপাশ ওপাশ-এপাশ, ভীষণ বেস্ততায় ছুটাছুটি-
তবে আজ চাতকতা আশাহতই রইলো,
এক ফোটাও যে জল পেলোনা তৃষ্ণা মিটাবে বলে।

হলদে পাতা ঝরতে দেখছি অনেক,
আজ সবুজ পাতার অঝোরে ঝরেছে,
গাছটাও মায়ায় জড়ায়নি,
পাতা ঝরিয়ে উদোম হয়েছে, সবুজের মায়া করেনি।

রক্ত জবারা কালো হয়েছে,
মাতাল করা রূপ হারিয়ে লুটিয়ে পরেছে,
আর পিঁপড়ার পায়ে পিষ্ট হচ্ছে।

ফড়িংয়ের দল মাঠেই ছিল,
উড়াউড়ি, দৌড়ঝাঁপ, সবসময়কার ব্যস্ততা-
কিছুই ছিলোনা, ঠায় দাঁড়িয়েছিল অলস হয়ে।

নিয়ম করে আজকেও সন্ধ্যা গোধূলি এসেছে,
লালচে কমলাটা আজ তেমন ছিলোনা,
নিলে রাঙা গোধলী আজ এসেছে।
বেদনার নীল গোধূলির গায়ে- কেউ দেখেনি, আজ দেখেছে।

আজ পূর্ণিমা, আকাশটাই যেন চাঁদের বাড়ি,
তবে জ্যোত্স্না ছিল খুব ফেকাসে-বিবর্ণ।
মনমরা চাঁদটাই শুধু ভেসে রয়েছে,
একাকিত্ব সে মেনেই নিয়েছে।



আজও রাত গভীর হয়েছে,
শরীরটাও বিছানা খুঁজে পেয়েছে।
তবে স্বপ্ন আসেনা চোখে,
মগজ খাচ্ছে চিন্তার হায়েনারা,
এমন আগে কখনো হয়নি,
যখন তুমি দখলে ছিলে বুকের বাঁপাশে।

আজ সবকিছু নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে,
তুমি রাগ করেছো বলে আমার সাথে।